গ্রামের রাস্তায় ১৫ মিনিটের পল্লী অ্যাম্বুলেন্স

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 00:44:03

কদিন আগেও গ্রামের কোনো রোগীকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসতে একমাত্র ভরসা ছিল কাঠের ভ্যান। দিনের বেলা যেমনতেমন, কিন্তু রাতের বেলা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছিল অনেক কষ্টকর। কয়েকদিন আগেও যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক প্রসূতি হাসপাতালে পৌঁছাবার আগেই মারা গেছে।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের জন্য কিছু অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়। গ্রামের হতদরিদ্র অসুস্থ মানুষদের শহরের হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছে এসব অ্যাম্বুলেন্স। ব্যাটারি চালিত এসব পল্লী অ্যাম্বুলেন্স অন্য সাধারণ অ্যাম্বুলেন্সের মতোই। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময় গ্রামের অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাবার জন্য প্রস্তুত থাকে পল্লী অ্যাম্বুলেন্সগুলো।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৭০ গ্রামবাসী সাতটি পল্লী অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সেবা পাচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ব্যাটারিচালিত সাতটি পল্লী অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হয়। প্রতিটি পল্লী অ্যাম্বুলেন্স তৈরিতে খরচ হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা।

পল্লী অ্যাম্বুলেন্সের সেবা দ্রুত পাওয়ার জন্য গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কাছে রাখা হয়েছে বিশেষ মোবাইল নাম্বার। ওই নাম্বারে ফোন করলেই ১৫ মিনিটের মধ্যে রোগীর বাড়ি পৌঁছে যাবে পল্লী অ্যাম্বুলেন্স।

সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পল্লী অ্যাম্বুলেন্স চালক নয়ন জানান, গ্রামের কেউ তার মোবাইলে একবার ফোন দিলেই রোগীর বাসায় চলে যান তিনি। অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে নিয়ে দ্রুত পৌঁছান হাসপাতালে। গ্রামের অনেক মারাত্মক রোগী থাকে যাদের অনেক রাতেও পল্লী অ্যাম্বুলেন্সে করে শহরের হাসপাতালে নেওয়া হয়। গরিব রোগীদের কাছ থেকে নামমাত্র টাকা নিয়ে পৌঁছে দেয়া হয় হাসপাতালে। তবে অনেকে খুশি হয়ে বেশি টাকাও দেন। ভাড়া দিতে পারেন না এমন রোগীও আছে।

শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান জানান, শহর থেকে দূরে গ্রামের পথে চলছে পল্লী অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালে পৌঁছার জন্য গ্রামের মানুষরা হাতের কাছে পাচ্ছে পল্লী অ্যাম্বুলেন্সের সেবা। পল্লী অ্যাম্বুলেন্সগুলো ব্যাটারিতে চলে। পল্লী অ্যাম্বুলেন্সগুলো গ্রামের রোগী নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে শহরের হাসপাতালে। গ্রামের অসহায় মানুষগুলো এই সেবার ফলে উপকৃত হচ্ছে। এতে খুশি গ্রামবাসী।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় অসুস্থ মানুষদের কথা ভেবে পল্লী অ্যাম্বুলেন্সের পরিকল্পনা করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর