বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকবির হত্যার সঙ্গে জড়িত পারভেজ আল মামুন ওরফে মুক্তাদির (২১) নামের এক যুবককে প্রায় এক বছর পর গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার হেফাজত থেকে ১টি কাটা রাইফেল ও ২টি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত মুক্তাদির শিবগঞ্জ উপজেলার চাকলমা মুন্সিপাড়া গ্রামের ফজলে মাবুদ শাহীনের ছেলে। মুক্তাদির বগুড়া সরকারি শাহসুলতান কলেজের ছাত্র। তিনি বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় তাসিন ছাত্রাবাসে বসবাস করতেন।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল তাসিন ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়ে মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করে। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার কক্ষের সিলিংয়ের ওপর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১টি ম্যাগজিন যুক্ত সচল কাটা রাইফেল, ২টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু ও ২টি এসএস পাইপ উদ্ধার করা হয়।
ডিবি ইনচার্জ আরও জানান, গত বছরের ১৩ মার্চ রাত ৯টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় দলীয় নেতাকর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খানকে কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ তাকবির মারা যান। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ছাত্রলীগ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্তকালে আব্দুর রউফের সহযোগী আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মুক্তাদির জড়িত থাকার কথা প্রকাশ করে। এরপর থেকেই ডিবি পুলিশ মুক্তারদিরকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজতে থাকে। গ্রেফতারের পর মুক্তাদির ডিবি পুলিশকে জানায় তাকবির হত্যার পর থেকে তিনি দেশের বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করে থাকে। কিছুদিন আগে বগুড়ায় এসে তাসিন ছাত্রাবাসে ওঠে।