কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর ওপর তার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগে তারা মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রৌমারী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত তারা মিয়া উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে। সে সম্পর্কে চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের কদম আলী ছেলে তারা মিয়া পূর্ব যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর বাড়িতে গিয়ে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং অভিযুক্ত তারা মিয়াকে মারধোর করে পুলিশে খবর দেয়।। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি ধারালো ধারালো অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ।
হামলায় আহত যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন,‘ওই যুবক আমার বাড়িতে এসে আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। এ সময় আমার বামহাতের তালু কেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত যুবক তারা মিয়া বলেন, ‘আমি তাকে মারতে যাইনি। শুধু ভয় দেখাতে গিয়েছিলাম। এ সময় তার লোকজন আমাকে ধরে বেদম মারপিট করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমার আপন চাচাতো ভাই। তার কাছে আমাদের শরিকানা জমি রয়েছে। সেই জমি বের করে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চেয়ারম্যান আমাদেরকে ঘুরাচ্ছেন।’
ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘ এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।