দেশের ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন সাড়ে ১৫ লাখ নতুন ভোটার। এ নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১১ কোটি ৩২ লাখ। আজ জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে নতুন তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ মার্চ হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জাতীয় ভোটার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করব ভোটাধিকার’। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে ইসি। দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ১১ লাখের বেশি নতুন ভোটার আবেদন অনিষ্পন্ন রেখেই হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হচ্ছে আজ। হালনাগাদে সাড়ে ১৫ লাখের মতো নতুন ভোটার যুক্ত হতে যাচ্ছে। ফলে দেশে মোট ভোটার দাঁড়াবে ১১ কোটি ৩৩ লাখের কাছাকাছি।
সূত্র জানায়, রোববার ইসি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় অনলাইনে ভোটার আবেদন পেন্ডিং থাকার তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর নতুন ভোটারদের ঝুলে থাকা আবেদনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সার্ভারে ১১ লাখ ১৪ হাজার ৩৩টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা অবশ্য দাবি করছেন, আবেদনকারীদের কারণে এসব আবেদন ঝুলে আছে। তারা সময়মতো ছবি তুলতে আসছেন না। আবার কেউ কেউ একাধিকবার আবেদন করেছেন। এ সময় কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসনের জনবল সংকটের কথাও জানান। তারা বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা গেলে এত সংখ্যক আবেদন পেন্ডিং থাকত না।
২০১৮ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতিবছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে উদ্যাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এক বছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়। জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে।