দুর্নীতি দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: শামীম ওসমান

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ | 2023-08-25 00:54:38

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, অনেকে অনেক কথা বলছেন। আমার নাকি ১৭টি জাহাজ আছে। দেন না দুই-চারটা আমার জন্য ভালো। সাংবাদিকদের ডাকেন আমি আমার সম্পদের ফাইল দেব। আপনি আপনারটা দেন। যদি কোনও দুর্নীতি দেখাতে পারেন রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাবো।

রোববার (১৩ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ইউনাইটেড ক্লাবের এক কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, মার্চ মাসের তিন-চার তারিখ থেকে শুরু হয়েছে, তাদের অনেকে নাকি আওয়ামী লীগ করে। তারা বলছেন সরকার ব্যর্থ সরকার। বাইরে থেকে ধার করে কিছু সুশীল, কুশীল আনা হয়েছে। এরাই কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের প্রবক্তা। তারা বিএনপির জন্য এসব করছে না। তারা মোশতাকের বংশধর। এরা দেশ বেঁচে খায়, তারা এক জায়গায় বৃষ্টি হলে আরেক জায়গায় ছাতা ধরে। তারা আজ মানবাধিকারের নাম বেঁচে চলছে। তারা বলে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাবে। ওদের কপাল ভালো আমি ধৈর্যশীল হয়ে গেছি। আমার নেত্রী যদি এত আঘাত পেয়ে বিষ হজম করতে পারেন। তাহলে আমি পারব না কেন। আমরা দলটা মন থেকে করি নাটক করি না। নির্বাচন এলে ওই একবার বলব দুলাভাই, একবার বলব ব্রাদার, একবার বলব গডফাদার ওই সব আমরা করি না।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে অনেকে আমাকে পছন্দ করেন না। এতে সমস্যা নেই, আমি বলি না আমি পারফেক্ট। আমরা দোষগুণে মানুষ। তবে অন্তত এ বয়সে এসে যদি সত্য না বলতে পারি তাহলে রাজনীতি করা উচিত নয়। আমি সবটা বলতে পারবো না, কারণ আমি রাজনীতি করি। টেবিলের আলোচনা মাইকে করা যাবে না। তবে যতটুকু বলবো সত্য বলা উচিত।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি পদ-পদবি দিতে পারবো না। আমার সঙ্গে থাকলে নিগৃহীত হতে হবে। রাজনীতিতে দুই ধরনের নেতা আছে। একটা হলো পদধারী নেতা, আরেকটা হলো জননেতা। আমরা হিসাব দেবো- আমরা কত হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি। উন্নয়ন দিয়ে আপনি মানুষের মন জয় করতে পারবেন না। মানুষ উন্নয়নের চেয়ে বেশি চায় শান্তি, তার চেয়ে বেশি চায় সম্মান, মাদকমুক্ত সমাজ।

তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পঁচাত্তরে আমাদের শৈশব ও যৌবনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যখন রাজনীতিতে এসেছিলাম তখন জানতাম না যে আপা দেশে আসবেন ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছেন এবং বাস্তবায়নও করেছেন। ১৭ কোটি লোকের দেশ হয়েও আমরা আজ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছি। করোনার কারণে আমরা একটু পিছিয়েছি। আর যুদ্ধের কারণে অনেক কিছুর দাম বেড়ে গেছে। এই সুযোগে এক শ্রেণির মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর