বগুড়ার ১৮টি নদী শুকিয়ে পরিণত হয়েছে ফসলের ক্ষেতে

, জাতীয়

গনেশ দাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম,বগুড়া | 2023-08-30 17:58:52

শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই বগুড়া জেলার উপর দিয় প্রবাহিত ১৮টি নদী শুকিয়ে পানি শূন্য হয়ে পড়ছে। কোন নদী পরিণত হয়েছে ফসলের ক্ষেত আবার কোন নদী হয়ে গেছে নালা। অধিকাংশ নদীর বুক জুরে চাষাবাদ হচ্ছে ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফসল।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে,বগুড়া জেলার উপর দিয়ে ছোট বড় ১৮টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। নদী গুলো হচ্ছে, যমুনা, বাঙ্গালী, করতোয়া, নাগর, হলহলিয়া, ইছামতি, মহিষাবান, সুখদহ নদী, ডাকুরিয়া, বলাই, ভদ্রাবতি, চন্দ্রাবতী, গাংনাই, গজারিয়া, মানস, বানিয়াইযান, ইরামতি এবং ভলকা নদী।  এই ১৮টি নদীর মধ্যে যমুনা এবং বাঙ্গালী বড় নদী। যমুনা নদীতে পানি থাকলেও বর্তমানে তা শুকিয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। জেগে ওঠা চর গুলোত চাষাবাদ হচ্ছে নানা রকমর ফসল। আর এক সময়ের খরস্রোতা করতোয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে করতোয়া নদীতে কিছুটা পানি প্রবাহ থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে মজা খাল। ১৯৮৮ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খুলশিচাঁদপুর এলাকায় বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণের মাধ্যমে করতোয়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। এরপর থেকেই করতোয়া নদী বগুড়ার অংশের চিত্র পাল্টে যায়।

ইছামতি নদী

করতোয়া ছাড়াও অন্যান্য অধিকাংশ নদীতে নেই হাটু পানি। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন নদীর বুক জুরে শুরু করছে চাষাবাদ। আবার কোথাও কোথাও নদী থেকে তোলা হচ্ছে অপরিকল্পিত ভাবে বালু। নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হওয়া নদীগুলো এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে।

নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ। বগুড়া শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত করতায়া নদীর নাব্যতা ফিরিয় আনার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা দীর্ঘদিন যাবত ফাইল বন্দী হয়ে রয়েছ।

বাঙ্গালী নদী

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, করতোয়া নদীর নাব্যতা ফেরাতে একটি সমীক্ষা চলমান রয়েছে। ওই প্রকল্পে নদী খনন ছাড়াও নদীর দুই তীরে ওয়াক ওয়ে ও নদীতে পানি ধরে রাখার অবকাঠামো তৈরী করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর