ঝিনাইদহ সদর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আরিফা খাতুন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী বাল্যবিবাহের থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জেলা আইনজীবি সমিতির এনেক্স ভবনে বিয়ের সময় ৯ম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।
শাকিল হোসেন নামে এক গাড়ি চালক এফিডেভিটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি বিয়ে করার সময় ঘটনাটি ঘটে।
১৫ বছরের আরিফা কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার দগদীশপুর গ্রামের ভাংড়ী ব্যবসায়ী রমজান আলীর মেয়ে।
জানা যায়, একই উপজেলার বলুহর গ্রামের গাড়ীচালক শাকিল হোসেনের সাথে আরিফা খাতুনের বিয়ে হচ্ছিল।
আরিফার বয়স ১৮ বছর না হওয়া সত্ত্বেও তাকে আইনজীবি বিপ্লব হোসেন এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রি করছে এমন সংবাদ পায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন।
পরে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সেসময় বিয়ে করতে আসা ছেলেটি পালিয়ে যায়। পরে মুচলেকা দিয়ে মেয়েকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।