রাজশাহী চিনি কলে পড়ে আছে ৬ হাজার মেট্রিক টন চিনি

রাজশাহী, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 11:28:24

রাজশাহী চিনি কলের গুদামে ছয় হাজার মেট্রিক টন চিনি পড়ে আছে। দুই মৌসুম মিলে এসব চিনি পড়ে আছে গুদামে। অবিক্রিত চিনির দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বাজারের তুলনায় চিনির দাম কমে যাওয়ায় মিলটির লোকসানে বোঝা আরো বেশি বাড়ছে।

এদিকে চিনি না বিক্রি হওয়ায় উভয় সংকটে পড়েছে চিকি কল কর্তৃপক্ষ। মিলে উৎপাদিত চিনির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য কম হওয়ায় চিনি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে মিলের প্রায় ১ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীরা ৬ মাস ধরে বেতন পান নি। অন্যদিকে মিলও পড়ছে লোকসানের মুখে।

দেশের চিনি কলগুলোর সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, চিনির দাম কমে যাওয়ায় আমরা অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। মিলগুলো চিনি বিক্রি করতে পারছে না। আবার মিলগুলোর চিনির দাম কমালে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার লোকসানে পড়তে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী চিনিকলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করে। আমদানির পরপরই চিনির বাজারদর কমে যায়। করপোরেশন প্রতি কেজি চিনির মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজার মূল্য ৪০ থেকে ৪২ টাকা। এতে লোকসানের মুখে পড়েছে করপোরেশন।

রাজশাহী চিনি কলের গুদামে ৫০ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত। অব্যাহত লোকসানে শতকোটি টাকার দেনায় ডুবেছে মিলটি। মিলে উৎপাদিত চিনির নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় বাজার মূল্য কম হওয়ায় চিনি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে মিলের প্রায় ১ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীরা ৬ মাস ধরে বেতন পান নি।লোকসানের বোঝা শ্রমিকদের ঘারে তুলে দিয়ে আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে শুক্রবার (২৩ নভেম্বর)।

বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য না থাকায় করপোরেশনের নিবন্ধিত ডিলাররা মিলের চিনি কিনছেন না।এজন্য চিনি কলের গুদামে কোটি কোটি টাকার চিনি অলস পড়ে আছে। ফলে মিল কর্তৃপক্ষ আর্থিক সংকটে পড়েছে। একদিকে শ্রমিককর্মচারীদের বেতন বকেয়া, অন্যদিকে ঋণের বোঝা। দিনে দিনে দুটোই আরও ভারী হয়ে উঠছে। এতে এক সময়ের লাভজনক শিল্পটি রুগ্ন হয়ে পড়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর