২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। রাজপথে আন্দোলনে নেমে সরকারের কাছে দুর্ঘটনায় জড়িত বাসচালক ও হেলপারের বিচার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরে তারা।
ওই আন্দোলনে শরীক হন বিএনপি নেত্রী মাহবুবা হাবিবা। আন্দোলনে শরিক হয়েই ক্ষান্ত হননি বিএনপি নেত্রী হাবিবা। কোমলমতি শিশুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন অশ্লীল প্ল্যাকার্ড। সেসময় ওই ঘটনায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। সেই হাবিবা এবার রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মাহবুবা হাবিবা। বাড়ি রাজশাহীর কাঁটাখালি এলাকায়। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। হাবিবা মুসলিম লীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আয়েন উদ্দীনের মেয়ে। মরহুম আয়েন উদ্দীন ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিলেন। সাবেক এমপি হওয়ার পরেও রাজাকার উপাধি থাকায় মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন পর্যন্ত হয়নি। হাবিবা বর্তমানে রাজশাহী জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। হাবিবার চাচাতো ভাই অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাজশাহী-৫ আসন থেকে বিএনপি নেত্রী হাবিবা এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী। কিন্তু তার কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যে জেনে গেছে পুঠিয়া দুর্গাপুরবাসী। যে নেত্রী কোমলমতি শিশুর হাতে অশ্লীল প্ল্যাকার্ড তুলে দিতে পারে তাকে দিয়ে দেশের কি হবে তা পরিষ্কার।
আন্দোলনচলাকালীন বিএনপির এই নেত্রীর তিনটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তার পরিচয় তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম।