পুলিশের উপস্থিতিতে ঘর দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া | 2023-08-29 19:03:02

বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতার দোকান ঘর দখল করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বজলুর রশিদ বুলু মিয়া (৪৮) নামের একজন নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের খেউনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত বুলু মিয়া খেউনি বিন্নাচাপড় গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে।

জানাগেছে, খেউনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সোয়া শতাংশ জায়গা নিয়ে একই এলাকার রঞ্জুর সাথে হাফিজারের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রঞ্জু ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকও হয়। বৈঠকে রঞ্জুর দলিল পরে হওয়ায় চেয়ারম্যান তাকে দখলে যেতে নিষেধ করেন। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দিতে চান ইউপি চেয়ারম্যান।

এরমধ্যে গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির সেখানে যান। এসময় মাঝিহট্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে হাফিজারের দোকান ঘর ভাঙচুর করে রঞ্জুকে দখল করে দেয়। এরপর থেকেই সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

রোববার বেলা ১২টার দিকে রঞ্জুর দখল করা দোকান ঘর উচ্ছেদ করতে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বজলুর রশিদ বুলু মিয়া (৪৮), তার ছেলে মিনহাজ (২৪), সাইফুল ইসলাম (৩২) ও দুদু মিয়াকে (৩২) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে বজলুর রশিদ বুলু মিয়া মারা যান।

মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এক্সেন্দার আলী বলেন, দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলি। কিন্তু শুক্রবার আওয়ামী লীগ নেতা গফুর মাঝিহট্ট ইউনিয়নের বীট অফিসার এসআই নাসিরকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই হাফিজারের দোকান ঘর ভাঙচুর করে রঞ্জুকে দখল করে দেয়। এনিয়ে রোববার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বুলু মিয়া মারা যান।

শিবগঞ্জ থানার এসআই নাসির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি সেখানে যাইনি। মাঝিহট্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, পুলিশের উপস্থিতি দখলের বিষয়টি সঠিক না। তবে শনিবার ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে সেখানে এসআই মিজানকে পাঠানো হয়েছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর