তিনদিন আগে ক্রয় করা অস্ত্রে তাসফিয়াকে হত্যা: র‌্যাব

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী | 2023-08-31 21:49:17

গত ১৩ এপ্রিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় চার বছরের শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৩)।সন্ত্রাসী রিমন যে আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল তা ঘটনার তিনদিন আগে ২১ হাজার টাকায় ক্রয় করা বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী র‌্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন (২৩) ও তার সহযোগী সোহেল উদ্দিন (২৪), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) এবং আকবর হোসেনের (২৬) অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার রাতে জেলার সুবর্ণচরের চরক্লার্কে অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি দল। এসময় ওই সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পিছু হটার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি গোলাবারুদ, একটি পিস্তল, একটি পাইপগান ও ৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে তুই (আবু জাহের) ওইদিন বৈঠকে ছিলি বলে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পিছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পিছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানীর কোলে মারা যায় তাসফিয়া।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তাসফিয়ার খালু (খালার স্বামী) হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন এজাহারভুক্ত আসাশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর