বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, কারাবন্দী হওয়ার পর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আইনি ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
বন্দি খালেদা জিয়া প্রাপ্য সুবিধার চেয়ে বেশি পাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলে এলেও তার বিপরীত বলছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সকালে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফখরুল বলেন, “পাঁচ দিনের মধ্যে বিচারের রায়ের কপি দেওয়ার কথা, সেটা এখন পর্যন্ত তারা দেয়নি। তাকে একটি নির্জন কারাগারে অন্ধ প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে, যা কোনোমতেই এই স্বাধীন দেশের আইনের মধ্যে পড়ে না।
সরকার বিভাগকে সম্পূর্ণ দলীয়করণের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে সাজা দেবার পরে তারা এখন আইনের ন্যুনতম যে সুযোগ-সুবিধা আছে, যে বিধান আছে সেগুলো পর্যন্ত তারা পালন করছে না- বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
নেত্রীর মুক্তির আ্ন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “দেশ এবং খালেদা জিয়া, গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া- এই দুটি আজ একাকার হয়ে গেছে। তাই দেশনেত্রীকে আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে মুক্ত করে আনতে হবে। আসুন তার মুক্তির দাবিতে আমরা সোচ্চার হই।”
খালেদা জিয়াকে ‘ভয় পায়’ বলেই সরকার আগামী নির্বাচনে ‘নীল নকশা’ বাস্তবায়ন করত তাকে ‘মিথ্যা মামলায় সাজা’ দিয়ে কারাবন্দি করেছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “আজ ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে পড়ছে। শেয়ার মার্কেট ধ্বংস হয়ে গেছে। কোথাও কোনো বিচার নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না। আজকে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কোনো বিচার হয় না। কারণ এর সাথে সরকার জড়িত রয়েছে।”
এ থেকে উত্তরণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানান ফখরুল।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের রাশেদা বেগম হীরা, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, হালিমা নেওয়াজ আরলী, ইয়াসমীন আরা হক, আমেনা খাতুন, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।