পিকে হালদারকে দেশে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-22 20:19:07

ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে  জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

শনিবার (১৪ মে) তিনি বলেন, পিকে হালদারকে আইনের মুখোমুখি করতে যত দ্রুত সম্ভব ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করা হবে না। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই দেশের বহিঃসমর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত আনার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব তাকে আনার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারের জন্য এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থাকে (ইন্টারপোল) চিঠি দিয়েছে দুদক।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্টও জারি হয়। এরপর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তার সম্পর্কে কিছু তথ্য চাওয়া হলে দুদক থেকে সেগুলো সরবরাহ করা হয়। তাকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দুদকের প্রচেষ্টা বরাবরই ছিল।

বহুল আলোচিত পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বেশ আগেই ইন্টারপোল থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। তার ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ চাহিদা অনুযায়ী নথিপত্র সংশ্নিষ্ঠ দপ্তরে সরবরাহ করা হয় তখন।

এদিকে সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- সবাই ভিন্ন ভিন্ন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

আর্থিক খাতের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পিকে হালদারসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে ৩৫টি মামলা করেছে দুদক। অস্তিত্বহীন প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণের নামে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর