চেয়ারম্যানের শিশু পুত্রকে খুনের পর আত্মহত্যা করল ঘাতক

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর | 2023-08-29 21:42:57

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের শিশুপুত্র আল রাফসানকে (৯) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক এরশাদ মোল্লা (৩৫) মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার ভাইকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহত শিশুর স্বজনরা।

বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদরপুরের আটরশি এলাকায় টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেন এরশাদ মোল্লা।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. জামাল পাশা জানান, ঢেউখালী এলাকার মো. ছানু মোল্যার ছেলে এরশাদ মোল্লা বিকেল চারটার দিকে সদরপুর উপজেলার সাতরশি গ্রামের ঋষিবাড়ীর মোড়ের একটি বাড়িতে হামলা করে। ওই বাড়িতে ঘরের মধ্যে বিছানায় শুয়ে থাকা চেয়ারম্যানের শিশুপুত্র আফসান ও স্ত্রী দিলজাহান রত্নাকে কুপিয়ে জখম করে। এতে রাফসানের মৃত্যু হয়। গুরুত্বর আহত রত্নাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ওই শিশুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা প্রশমনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলায় নেতৃত্বদানকারী হিসেবে অভিযুক্ত এরশাদ মোল্লা উপজেলার আটরশি এলাকায় টিএন্ডটির মোবাইল টাওয়ারের উপরে উঠে থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন পুর্বে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদের একটি সালিশ বৈঠকে রায় দেয়াকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ হয় এরশাদ, এর জেরে এরশাদ চেয়ারম্যানের পরিবারের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি তাদের।

জানা গেছে, এরশাদ সম্প্রতি তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে গত সোমবার (১৬ মে) উপজেলা পরিষদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজনুর রহমান সিকদারের মধ্যস্থতায় সালিস হয়। ওই বৈঠকে ঢেউখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এরশাদকে  স্ত্রীকে তালাক দেওয়া থেকে বিরত থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরশাদ এ প্রস্তার নাকচ করলে স্ত্রীকে মোহরানা বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা বুধবারের (১৮ মে) মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর