নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকার একটি ডোবা থেকে ১১ বছর বয়সী মো. মারুফ নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের সামনের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মারুফ সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের মৃত ছানা উল্যার ছেলে। সে নোয়াখালী পৌর এলাকার বোর্ড স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পরিবারসহ থাকতো। মারুফ ভাঙারি মালামাল খুঁজতো এবং তা দোকানে বিক্রি করতো।
নিহত শিশুর মা মায়া বেগম জানায়, গতকাল বুধবার সকালে তার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় মারুফ। এরপর এলাকায় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কিছু সময় খেলাধুলা করে। তারপর থেকে সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে। কিন্তু বুধবার সে আর ফিরেনি। তার সহপাঠীরা জানায় গতকাল বিকেলে কোন এক যুবক তাকে হোন্ডায় করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও তার হদিস পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সুধারাম থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ডোবায় পড়ে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও এটি হত্যা নাকি পানিতে পড়ে মারা গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।