‘আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। আমার কলিজা মেয়েটার মুখ আর দেখা হবে না মামা। তুমি একটু দেখে রাখিও।’
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। এর মধ্যে আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।
বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ফায়ার সাভিস কর্মী মো. মনিরুজ্জামানের। মনিরের বড় মামা মীর হোসেন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) এসে ভাগনের মরদেহ শনাক্ত করেন। মৃত্যুর আগে মামাকে কথাগুলো বলছিলেন মনির।
মৃত্যুর আগে মো. মনিরুজ্জামান তাকে বলছিলেনমো. মনিরুজ্জামান, কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউপির নাইয়ারা গ্রামের মৃত ছেরুমিয়ার ৫ ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে মনির। ২০১৬ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর বরিশাল জেলায় সে বিয়ে করেন। তাদের ২ মাসের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের আট কর্মী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এর মধ্যে মনিরুজ্জামান নামে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন।