যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-31 05:17:58

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক হারে প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা, নিকরাইল ও অজুর্না ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত মানুষ। এরইসাথে বিশুদ্ধ পানির সংকটও পড়েছেন বানবাসিরা।

এদিকে, উপজেলার গাবসারাসহ নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেইসাথে চরাঞ্চলের অসংখ্য পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে গোবিন্দাসীর যমুনা বেঁড়ি বাঁধ (কালা সড়কে) পলি কাগজের ছাউনি তৈরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রাস্তাগুলো ভেঙে পানির তীব্র স্রোতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

অপরদিকে, চরাঞ্চলে গবাদিপশু নিয়ে দুর্বিসহ দিন কাটাচ্ছে বানভাসিরা। বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান। ভেসে যাচ্ছে পুুকুরের মাছ। তলিয়ে যাচ্ছে পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৪ এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার উপজেলার খানুরবাড়ী, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট। ঘরবাড়ি ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছে লোকজন। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের অভাব। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: ইশরাত জাহান জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখনো কোন বরাদ্দ পাইনি। বরাদ্দ পেলেই বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর