বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কার্গো পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই বছরের মাথায় তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
দু’বছর আগে ২০১৬ সালের মার্চে নিরাপত্তার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিলো।
ঢাকায় ব্রিটিশ হ্ইাকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক আজ হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কার্গো পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি নথি মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।হ্ইাকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সন্তোষজনক উন্নতি করায় যুক্তরাজ্য সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
বিগত দু’বছরে বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার উন্নয়নে একটি ব্রিটিশ কোম্পানীকে নিয়োগ দেয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের পর অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানীও কার্গো বিমান পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফলকালে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে কেবল বাংলাদেশ বিমান সরাসরি কার্গো বিমান পরিচালনা করে।
নিষেধাজ্ঞার সময় বিমানের কার্গো ফ্লাইটগুলো দুবাই, কাতার, থাইল্যান্ড ও ভারত তথা তৃতীয় কোন স্থানে পরীক্ষা করা হতো।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এতে অর্থ ও সময় দুই দিক থেকেই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো।