কড়া রৌদ্রজ্জ্বল দিন। নীল আকাশে সাদা মেঘের উড়াউড়ি। চোখ মেলে তাকানো দায়! বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে পদ্মার পাড়ে যেন রোদের রঙ লেগেছে। রোদের তীব্রতায় সবকিছুই ঝলমল করে উঠছে।
রাত পোহালেই হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। এর মাধ্যমে অবসান হবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দেওয়ার দীর্ঘ ভোগান্তির। এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে মাওয়া জাজিরা প্রান্তে সাজ সাজ রব পড়েছে। উদ্বোধনের আগে দিনে প্রকৃতিও যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পদ্মাপাড়ের সব জায়গায় উৎসেবর আমেজ বিরাজ করছে। সেতুর দ্বার উন্মোচনের আগে মাওয়া এলাকায় আনন্দে উদ্ভাসিত মানুষ। মাওয়া পদ্মার পাড় সাজানো হয়েছে রঙিন সাজে। শিমুলিয়া ঘাট ও মাওয়া বাজারের চারপাশে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে এলাকা। লাল, নীল, সবুজ নিশানা টানানো হয়েছে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে। কোথায়ও কোথায় স্থান পেয়েছে রঙিন পদ্মার সেতুর টোল প্লাজার দই পাশে রঙিন ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে। যেখানে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু, সাত মার্চের ভাষণ, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্র। এছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে এসব সাজ সজ্জায়।
সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও সুধী সমাবেশ হবে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পদ্মা পাড়ে। প্রস্তুত করা হয়েছে ফলক মঞ্চ। মাওয়া প্রান্তের খানবাড়ি নামক এলাকায় একটি প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। জনসভার এই মঞ্চটি তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতুর আদলে।নৌকা। সব প্রস্তুতি শেষ, এখন অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে পুরোদমে।
উদ্বোধনের পর পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে টানা পাঁচ দিন চলবে আনন্দ আয়োজন।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন উত্তাল পদ্মায় হবে সেতু। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। তারা জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন।
এদিকে, পদ্মার দুই প্রান্তে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ সবাই একযোগে মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন পেট্রোলিং ছাড়াও আকাশপথে থাকবে র্যাবের হেলিকপ্টারের নজরদারি।