রাজশাহীতে নিহত কিশোরের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-08-28 11:45:41

 

রাজশাহীতে পূর্ব শত্রুতার হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার বেলা ৩টার দিকে এলাকাবাসী নগরীর রেলগেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। প্রায় ৪৫ মিনিট চলে তাদের এই বিক্ষোভ।

এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সনি (১৭)। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম পাখি। বাড়ি নগরীর রেলগেট এলাকায়। রফিকুল জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। নিহত সনি এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার সমবয়সী কিছু ছেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুলে নিয়ে গিয়ে সনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। রাতে সনিসহ তার আরও তিন বন্ধুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়।

একপর্যায়ে সনি ও তৈয়বুর নামে আরেকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। হেতেমখাঁ সবজিপাড়ায় নিয়ে দুজনকেই কোপানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সনিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যজন চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় সনির বাবা রফিকুল ইসলাম রাতেই আটজনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন- মঈন ওরফে আন্নাফ (২০), তার মা বিথী (৩০), মো. রাহিম (১৯), সিফাত (১৯), শাহী (১৯), সোরাব খান লাল (৪০), শিউলী (৪২) ও আনিম (১৮)। আসামিদের সবার বাড়ি হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকা। এদের মধ্যে বিথী রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের ক্রীড়া সম্পাদক। শিউলী কমিটির সদস্য। আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

তাই সোমবার দুপুরের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে সনির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে স্বজনেরা লাশ নিয়ে যান নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরে। তারা প্রায় ৪৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা সনির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এ সময় সেখানে গিয়ে বক্তব্য দেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ১৩ নম্বরের কাউন্সিলর আবদুল মমিন, ১৪ নম্বরের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার ও ১৫ নম্বরের কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন। তারা খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দেন।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা ঘটনার পরই গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিরা ধরা পড়বে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর