ঈদের আর কয়েক দিন মাত্র বাকি। এরই মধ্যে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধের জন্য সরকার ঈদের সাতদিন মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় আজ বুধবার (০৬ জুলাই) থেকেই ফেরিতে চাপ বেড়েছে মোটরসাইকেলের।
জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। যাত্রা পথে মহাসড়কে সব ধরনের ঝামেলা থেকে দূরে থাকার জন্য ভোর রাতেই ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই। এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটের ৫নং ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরিতে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকল রয়েছে। প্রতিটি মোটরসাইকেলেই একজন করে আরোহী রয়েছেন। অনেক মোটরসাইকেলই আবার দেখা গিয়েছে শিশু ও নারী নিয়ে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ফিরছেন ঘরে।
দৌলতদিয়া ৪ ও ৫ নং ঘাটের টার্নিং পয়েন্ট মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়া বাইক চালক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঈদের সাতদিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তাই আজ ভোর রাতেই গাজীপুর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। আবার ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরব।
স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে ঘরে ফেরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মজীবী বাইক চালক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার মোটরসাইকেল মহাসড়কে চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় অফিসের বসকে ম্যানেজ করে আজই গ্রামের বাড়ি ফিরছি।
নারী ও শিশু নিয়ে এভাবে ফিরছেন এতে কোনও ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন কিনা- এমন প্রশ্ন করলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঝুঁকি তো আছেই। ছোট মেয়েটাকে যেভাবে সামনে বসিয়েছি তাতে তো প্রচন্ড ঝুঁকি রয়েছে। কিছু সময় পর পরই ওর সাথে কথা বলতে হচ্ছে। কিন্তু কি করবো, কিছুই করার নেই। পরিবহনের যে ভাড়া তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের যাতায়াত করাই কঠিন।