স্কুলমাঠে গরুবাজার: ইউএনও বলছেন সম্ভব না, প্রধান শিক্ষক দিলেন অনুমতি!

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর | 2023-08-27 02:37:42

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবৈধভাবে গরু বাজারের আয়োজন করা হয়েছে। এনিয়ে সদরের ইউএনও ইমরান হোসেনের সাফ কথা, স্কুলমাঠে গরু বাজার বসানো কোনভাবেই সম্ভব না। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ শিকদার জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তিনি বাজার বসাতে অনুমতি দিয়েছেন।

বুধবার (৬ জুলাই) বিদ্যালয় মাঠে গরু বাজারের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে বিদ্যালয় মাঠে গরু নিয়ে আসে বিক্রেতারা। দুপরের পর থেকে মাঠে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে গরু বাজার জমে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরু বাজার বসানো হয়েছে। মাঠের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে বাঁশ স্থাপন করে গরু বাঁধা হয়েছে। স্কুলের বারান্দায় গরু বাঁধা রয়েছে। মাঠের পশ্চিম পাশে শহীদ মিনারেও গরু বাঁধা হয়। গরু বহনকারী হাইড্রোলিকসহ ছোট-বড় পিকআপ ভ্যানের চাকা দেবে মাঠ গর্ত হয়ে পড়ে৷ পরে সেখানে বালু পেলে গর্ত ভরাট করা হয়।

গরু বাজারের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ শিকদার উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, মাঠে গরু বাজারের জন্য আমি অনুমতি দিয়েছি। ইউএনও কি বলেছেন, তা আমার জানার প্রয়োজন নেই। আমি প্রধান শিক্ষক, আমার ক্ষমতাবলেই বাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন রাজু বলেন, স্কুল মাঠ ছাড়া বাজারের কাছে খোলা মাঠ নেই। তবে স্কুল মাঠে গরু বাজার বসানোর বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

ইজারাদার আজাদ হোসেন বলেন, প্রায় ৪ লাখ টাকায় গরু বাজার ইজারা নিয়েছি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মাঠে বাজার বসাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিতভাবে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। গরু বাজারটি সরিয়ে দিলে আমার অনেক টাকা ক্ষতি হবে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন, খোলা মাঠে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই স্কুল মাঠে গরু বাজার বসানো যাবে না। প্রধান শিক্ষক কেন অনুমতি দিয়েছে, এ নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর