বিনা চাষে ধান আবাদে সাফল্য

রাজশাহী, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 11:05:31

রাজশাহীতে বিনা চাষে আমন ধান আবাদে সফল হয়েছে কৃষকরা। জেলার গোদাগাড়ীতে এক হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ধান আবাদ করা হয়েছিল। অল্প খরচে এ আবাদের মাধ্যমে কৃষরা ধান ঘরে তুলতে পারবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, বিনা চাষে ধানের আবাদ করতে হলে প্রথমে ট্রে বা পলিথিনে করে চারা তৈরি করতে হবে। পরে ১৫-১৬ দিনের মধ্যে জমিতে এই চারা রোপণ করতে পারলে তা মাটিতে দ্রুত বসে যেতে সক্ষম হয় এবং আরও দ্রুত কুশি ছড়াতে থাকে। এভাবে ধানের গোছা মোটা হয় এবং ফলনও ভালো হয়।

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত গোদাগাড়ীতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয় ব্যাপক হারে। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে বলে জানান রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক।

তিনি জানান, অল্প খরচে রাজশাহীর মধ্যে গোদাগাড়ীতে শুধুমাত্র ১ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে বিনা চাষে রোপা আমন ধান আবাদ করা হয়। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই পদ্ধতিতে আমন ধানের আবাদ করেন। কৃষকরা প্রথমে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে নিরুৎসাহিত হয়। পরে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও পাকড়ী ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন দেওয়ানের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে ধান আবাদ করা হয়।

তিনি আরও জানান, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এই পদ্ধতিতে ধান আবাদ করে সফল হয়েছেন। এই ধান কেটে ঘরে তুলতে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন মাস সময় লাগে। আর এ পদ্ধতিতে খরচ অনেক কম এবং জমির মাটির গুণগত মান ভালো থাকে। এছাড়াও ফলন বেশি হয়। সার, বীজ ও কীটনাশক কম লাগায় কৃষকরা অল্প খরচে এই পদ্ধতিতে আমন ধান আবাদ করতে পারবে।

মাহমুদুল ফারুক জানান, আসছে মৌসুমে বিনা চাষ পদ্ধতিতে ধানের আবাদ আরও বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কৃষকদের সচেতন করে তোলা হবে। ধানের ফলন দেখে আসছে রবি মৌসুমে ১০০ বিঘার উপরে বরেন্দ্রতে বিনা চাষে ধান আবাদ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর