৩৩২৫ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতির রেকর্ড

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 03:19:43

করোনা মহামারি সামাল দিতে না দিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩২৫ কোটি ডলারে (তিন লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

একই সময় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের ঘাটতিও সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। পাশাপাশি রফতানি ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। তা না হলে সংকটে পড়বে অর্থনীতি।

তারা বলছেন, এখন অপ্রয়োজনীয় আমদানি বন্ধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে করে এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর চাপ কম পড়ে। কারণ এক্সচেঞ্জ রেট বেশি বাড়লে আমদানি পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাবে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতি বাড়তির দিকে; আগামীতে আরও বাড়বে

সাবেক অর্থউপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রফতানি আয় ভালো থাকলেও অতিরিক্ত আমদানির চাপ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। এটা অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকির বিষয়, যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর চাপ পড়ছে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত পণ্য বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতির পরিমাণ তিন হাজার ৩২৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৯৪ দশমিক ৭০ টাকা) হিসাবে দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ তিন লাখ ১৪ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকার বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৩৭৭ কোটি ডলার।

এদিকে, জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত দেশে দুই হাজার ১০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরে একই সময় এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত দেশে দুই হাজার ১০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরে একই সময় এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর