চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে প্রাধান্য পেতে পারে যে সব ইস্যু

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 10:42:41

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন। তার এই সফরে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিসহ দুদেশের দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (০৫ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দুই দিনের সফরে শনিবার বিকাল ৫টায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা আছে। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

তবে এখনও পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস তার কর্মসূচির সময়সূচি বিস্তারিত জানায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে ঢাকা-বেইজিংয়ের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকালে ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর ঢাকা সফরকালে হওয়া ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার সম্ভবনা রয়েছে

এছাড়া তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনার বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

এদিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যেসব জোট বা বলয় রয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে চীনের। সম্প্রতি এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্কও করেছে চীন। বেইজিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক লিউ জিনসং এক বৈঠকে এ বিষয়ে সতর্ক করেন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের জোট বা বলয় ঘিরে ঢাকাকে বেইজিংয়ের বার্তা দিতে পারেন।

রোহিঙ্গা সংকটের পর চীনের মধ্যস্থতায় এ জাতিগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলছে। চীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে গত বছর জানুয়ারিতে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও হয়েছে। রোহিঙ্গাদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরাতে চায় বাংলাদেশ। আর মিয়ানমারের ওপর চীনা প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব বলেও মনে করে ঢাকা। সে কারণে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ঢাকার পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে নানা সংকট তৈরি হয়েছে। সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকটসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। বর্তমান এই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ঢাকা ও বেইজিং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর আলাদা গুরুত্ববহন করছে। তবে কী আলোচনা হতে পারে তা এখনো বলতে পারছি না। কারণ আলোচনার বিষয়বস্তু এখনও ঠিক করা হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর