রাজশাহী বিভাগে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হবে। এ কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ৭৬ হাজার জন মাসিক ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।
রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় খাদ্য বিভাগ জানায়, ১৫ টাকা কেজির চাল বিক্রি শুরুর আগে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে উপকারভোগীদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা হবে। খাদ্যবিভাগ আরও জানায়, চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ২ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগৃহীত হয়েছে। চাল সংগ্রহ চলমান রয়েছে।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিভাগে এমওপি সার সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। নানা হাত বদলের কারণে কৃষককে এ সার কিনতে অতিরিক্ত মূল্যও প্রদান করতে হচ্ছে।
সমন্বয় সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগে কোভিড সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। ডেঙ্গুতে এ বিভাগে ৮ জন আক্রান্ত হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। মাঙ্কিপক্স সন্দেহে নাটোরের দুজন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত নয়। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর থেকে জানানো হয়, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে সিলিন্ডার গ্যাস সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সার সরবরাহ সঠিক রাখতে হবে এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যে ডিলার যে ইউনিয়নের জন্য ডিলারশিপ পেয়েছে তাকে সেই ইউনিয়নেই সার বিক্রয় করতে হবে।
বগুড়া থেকে এ অঞ্চলে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করা হয় বলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস বিক্রি নিশ্চিতে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসককে বিষয়টি দেখভালের নির্দেশ দেন। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরের প্রধানেরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।