গাজীপুরের শ্রীপুরে সাত বছর বয়সি এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী।
রোববার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড গ্রামের মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া ও কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি মসজিদেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এর আগেই অভিযুক্ত মাদ্রসার পরিচালক মাওলানা নুরুল হক পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, মাওলানা নুরুল হক একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। গত ২ বছর ধরে নিজ জমিতে এই মাদ্রাসা স্থাপন করে তিনি তা পরিচালনা করে আসছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, নুরুল হকের বিরুদ্ধে এর আগেও উক্ত মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ছিল। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে গেলে নুরুল হক সাত বছর বয়সি এক শিশুকে ঘুম থেকে তুলে বলাৎকার করে।
পরে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়িতে গিয়ে তার স্বজনদের কাছে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গ্রামবাসী রোববার সকালে মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (মাওনা ফাঁড়ি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। তবে অভিযুক্ত নুরুল হক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।