টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বউ চলে যাওয়ায় ঘটক আব্দুল জলিলকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা দিগড় ইউনিয়নের মানাজী (মাইদার চালা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘাতক আলমাস (২৫) ওই গ্রামের শহিদুলের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে আলমাস পলাতক রয়েছেন।
নিহতের ভাগ্নে আব্দুল বাছেদ ও স্থানীয়রা জানায়, মাইদার চালা গ্রামের শহিদুলের ছেলে আলমাস স্থানীয় একটি করাত কলে কাজ করেন। আলমাস এর আগেও ৩টি বিয়ে করেন। কিন্তু একটি বিয়েও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পরে ঘটক আব্দুল জলিলের মাধ্যমে (ঘটকালীতে) ২০১৯ সালে একই উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের প্যাঁচার আটা গ্রামে আলমাসকে বিয়ে করিয়ে আনেন। সেই ঘরে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এর দুই বছর পর ২০২১ সালে এই বিয়েও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ নিয়ে আলমাসের ভিতরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জোহরের নামাজ শেষ করে ঘটক আব্দুল জলিল আলমাসের দাদি আয়াতন বেগমের ঘরে পান খেতে বসেন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আলমাস ঘরে ঢুকে বউ এনে দেওয়ার কথা বলে ধারালো দা দিয়ে এলোপাথারি মাথায় ও গলায় কুপ দিলে ঘটনাস্থলে ঘটক আব্দুল জলিলের মৃত্যু হয়। নিহতের মাথা এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা নেওয়া হবে। তবে পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।