ফুটবলার নীলার বাড়িতে কুষ্টিয়ার ডিসি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া | 2023-08-30 18:10:54

বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো জিতেছে সাফ ফুটবলের শিরোপা। তাদের সাফল্যে আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দারা আজ গর্বিত ও আনন্দিত। এই জেলা থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে নিলুফার ইয়াসমিন নীলা খেলছেন।

নারী দলের ফুটবলার নিলুফার ইয়াসমিন নীলা কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ শিরোপা জয়ের পর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ফুটবলার নীলার বাড়িতে যান। তার মাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় নীলাকে সংবর্ধনা প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন ও কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিলুফার ইয়াসমিন নীলার মা বাছিরন আক্তার বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলে খেলাধুলায় নিয়মিত মুখ ছিলেন নিলুফা। শহরের চাঁদ সুলতানা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। দৌড়, লং জাম্পসহ বিভিন্ন খেলায় পুরস্কার নিয়ে বাড়িতে ফিরতেন।

খেলাধুলায় মেয়ের সাফল্য দেখে বাছিরনও খুশি হতেন। তাই কখনও খেলতে যেতে মানা করেননি। যদিও প্রতিবেশীরা টিপ্পনি কেটে বলতেন, ‘মা হয়ে মেয়েকে খেলায় পাঠায়!’ স্কুলে পড়ার পাশাপাশি সাভারে ফুটবল অ্যাকাডেমিতেও খেলতেন নিলুফা। ধকল সইতে না পেরে একবার কুষ্টিয়ায় ফিরতে চেয়েছিলেন নিলুফা। কিন্তু মায়ের বারণ। যত কষ্টই হোক না কেন, থাকতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না।

বাছিরন বলেন, সংসারে অভাব-অনটন ছিল। কষ্টে মানুষ করেছি। নিলুফা যদি কোনোদিক থেকে ভালো করতে পারে করুক। বাধা দেবো না। মানুষ যত খারাপ বলে বলুক, শেষ দেখে ছাড়বো।

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য কুষ্টিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলা এখন ঢাকায়। ছুটি পেলেই নিলুফা বাড়ি ফিরবেন। আর মেয়ের জন্য পথ চেয়ে আছেন মা বাছিরন আক্তার। নিলুফার ছোট বোন সুরভী আক্তারেরও যেন তর সইছে না।

চ্যাম্পিয়ন নিলুফার বাড়ি ফেরার আনন্দ ছুঁয়েছে এলাকাবাসীকেও। তাই মূল সড়ক থেকে নিলুফার বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার পথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দীন তার ব্যক্তিগত খরচে শ্রমিক দিয়ে এ কাজ করাচ্ছেন।

নিলুফার ইয়াসমিন নীলা বলেন, জেলা প্রশাসক আমার বাড়িতে গিয়েছিল। আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, জেলা প্রশাসন তার পাশে সবসময় থাকবে বলে জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর