ঢাকা শহরে আগে যত্রতত্র ও উন্মুক্ত স্থানে ৯০ শতাংশ বর্জ্য পড়ে থাকলেও বিগত ২ বছরে হতে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে খিলগাঁও এলাকায় দক্ষিণ সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, "ঢাকা শহরে আগে যত্রতত্র ৯০ শতাংশ বর্জ্য উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতো। বর্তমানে এটা কমিয়ে তা মাত্র ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। (বর্জ্য সংগ্রহ বাড়াতে) বাকি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করতে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।"
ঢাকা এখন আর বর্জ্যের শহর নয় উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঢাকা শহরে আগে ৯০ ভাগ বর্জ্য উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতো। ৫০ বছরে মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আর আমরা এই দুই বছরে ৩৫টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। বাকী ওয়ার্ডগুলোতেও বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে। সুতরাং ঢাকা শহর এখন আর বর্জ্যের ঢাকা শহর নয়।"
জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, "বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী এবং অসহায়, গরিব-দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন আজ। জন্মদিন উপলক্ষে দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচি পালন করছে। এই দিনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ হায়াত কামনা করি। বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে, আমরা কামনা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই যেন আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি।"
এর আগে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ভূইয়ার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন এবং পরবর্তীতে বাইতুল মুকাররম মসজিদের পূর্ব ফটক ও ডিআইটি এভিনিউ সড়কের সংযোগ রাস্তা এবং আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।