‘প্রমাণ ছাড়া বাবার ঘাড়ে সন্তান হত্যার দায় চাপানো যাবে না’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 00:06:36

কোনো ধরনের প্রমাণ বা সাক্ষ্য ছাড়া বাবার ঘাড়ে সন্তান হত্যার দায় চাপানো যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ সরদার।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের ১৬ লিংক রোডের একটি বাসায় মাদকাসক্ত বাবার জিম্মিদশা থেকে নিহত ও জীবিত দুই শিশুকে উদ্বার পরে তিনি এ কথা বলেন।

দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে মাদকাসক্ত বাবা নুরুজ্জামান কাজলকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় কাজলের নিহত এক ছেলে সন্তানের লাশ ও জীবিত এক ছেলে সন্তানসহ মসজিদের এক হুজুরকে উদ্ধার করা হয়।

ডিসি মারুফ সরদার বলেন, ‘প্রথমে জানতে পারি, বাংলামোটরের ১৬ লিংক রোড এলাকায় কাজল নামে এক লোক তার নিজের বাসায় তার এক ছেলের লাশ ও জীবিত আরেক ছেলেসহ এক হুজুরকে জিম্মি করে রেখেছে হাতে দা নিয়ে। বাসায় কাউকে ঢুকতেও দিচ্ছেন না আবার দরজাও খোলছেন না। পরে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পাই।’

উদ্ধার অভিযানের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জীবিত শিশু ও হুজুরের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অভিযানের শুরুতেই কোনো একশানে যায়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্ব করছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে কৌশলের অংশ হিসেবে মৃত শিশুটির জানাযার কথা বলে তাকে বের করলাম। পরে তাকে আটক করা হয়। তারপর বাকি জীবিত শিশু, হুজুর ও নিহত শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।’

বাবার হাতে শিশুটি খুন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি মারুফ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। প্রাথমিকভাবে বিষয়টিকে মানবিকভাবেই দেখছি। কেননা পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া বাবার ঘাড়ে সন্তান হত্যার দায় দিতে চাই না। কেননা ভিক্টিম ও সাসপেক্টের সম্পর্ক বাবা সন্তানের। তাই পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলে কিছু বলা যাবে না। এ ক্ষেত্রে বাহিরের লোকজন কী বলে সেটা বিবেচ্য নয়।’ 

ঘটনাস্থলে হত্যার কোনো আলামত ও শিশুটির শরীরে কোনো কাটাছেঁড়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো রক্ত দেখতে পাইনি। তবে বাসাটির ভেতরে সব জিনিসপত্র এলোমেলো ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সব কিছু ভাঙাচুরা অবস্থায় ছিল। এগুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে না এখানে আসলে কী হয়েছে।’

আটক কাজলের পারিবারিক কোনো কলহ ও তার মানসিক সমস্যা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পারবারিক কোনো বিরোধ ছিল কিনা তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। আর সে মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর