বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার আনন্দ উচ্ছ্বাসে সারাবিশ্ব। সেই আনন্দে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশও। বিভিন্ন দলের সমর্থকদের উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সর্বত্র। আনন্দ উচ্ছ্বাস থেকে বাদ যায়নি দ্বীপ জেলা ভোলাও। ভোলা জেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে বিশ্বকাপ খেলার আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। আনন্দ অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য বিশাল শোভাযাত্রা।
ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা শহরে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে আর্জেন্টিাইন সমর্থকরা। শোভযাত্রাটি ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু করে সদর রোড, উকিল পাড়া, যোগীর ঘোল, গার্লস স্কুল মোড়, নতুন বাজারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয় ।
দলীয় পতাকাসহ পছন্দের খেলোয়ারদের ছবি নিয়ে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল, কয়েকটি পিক-আপ, রিক্সা ও ভ্যান নিয়ে শোভাযাত্রা করে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থকেরা। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী সহস্রাধিক আর্জেটিনা সমর্থনকারীরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা মেসি ও আর্জেন্টিনা নামে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। সাজসজ্জায় নেচে-গেয়ে প্রিয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
মোটরসাইকেলে বর্নাঢ্য এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া সমর্থক আজমান, তহিম ফাহিম, অনিক, অনন্ত ও রকিরসহ অন্যান্যদের সাথে কথা হলে তারা জানান, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরেই আর্জেন্টিনার সমর্থন করেন। আর্জেন্টিনার খেলা বিশেষ করে মেসির খেলা তাদের অনেক পছন্দ। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই তারা আর্জেন্টিনা করে আসছেন। তারা মনে করছেন, আর্জেন্টিনা দলের সবাই এবার অনেক ভাল খেলবে এবং এবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাই হবে।
রিকশাযোগে অংশ নেয়া অনামিকা পাল বলেন, আমরা পরিবারের সবাই আর্জেন্টিনার সমর্থক করে। মেসির খেলা আমরা পছন্দ করি। মেসি ও আর্জেন্টিনা দলের সবাই অনেক ভালো খেলবে এবং তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হবে এই প্রত্যাশাই করছি। খেলার আনন্দে আমি আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছি।
শোভাযাত্রার অন্যতম আয়োজক শান্ত ঘোষ, অমি আহমেদ, মার্সেল, মিশু ও মুক্তি জানান, ২০ নভেম্বর থেকে বিশ্বকাপ খেলা শুরু হলেও আর্জেন্টিনার খেলা হবে ২২ নভেম্বর। দলের প্রতি ভালোবাসা ও সকলের সমর্থন জানান দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন করেছে তারা। প্রিয় দলকে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে সকল সর্মথকরা আনন্দিত-উচ্ছ্বাসিত।
ভোলার বিভিন্ন এলাকা, গ্রামগঞ্জ-হাটবাজার, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র প্রিয় খেলোয়ার ও দলের পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুন, সাজসজ্জায় সুসজ্জিত হয়েছে।