ধান কাটার ধুম, দামেও খুশি কৃষক

, জাতীয়

রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) | 2023-08-30 23:19:19

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে।  ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালি ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। অগ্রহায়ণ মাসে পুরো ধান কাটা শুরু হলেও আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে কাটা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পাশাপাশি খড় বিক্রি করেও বাড়তি আয় করেছে কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নে আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে। কিন্ত অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

উপজেলার রামগোপালপুর, ভবানীপুর, বোকাইনগর, নন্দীগ্রাম, লামাপাড়া, তাঁতকুড়া, খাজান্দর, কোনাপাড়া, মিরাকান্দা, নহাটা, পাছার সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে খেতের ধান পেকে গেছে। গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে পাকা আমনের গন্ধ। উৎসবের আবহে কৃষকের সঙ্গে ধান কাটায় যোগ দিয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। গ্রামে গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ধান কাটা, আঁটি বাঁধা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ। ইতিমধ্যে লক্ষমাত্রার এক তৃতীয়াংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। এদিকে গোখাদ্যের সংকট থাকায় খড়ের চাহিদা বেড়েছে। তাই ধান কাটার পর প্রতি কাঠা জমির খড় ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ধান বিক্রির পাশাপাশি খড় বিক্রি করেও লাভ করছে কৃষক।

ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আবিদুর রহমান বলেন, আমন মৌসুমে আমার ৪৯ জাতের ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানকাটার শুরুতে ১৩২০ টাকা মণ ধান বিক্রি করেছি। নিজেই পরিশ্রম করে ধান চাষ করায় লাভবান হয়েছি। পাশাপাশি খড় বিক্রিও করেও লাভ করেছি।

লামাপাড়া গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, আমি আমন মৌসুমে ১৮ কাঠা জমিতে  মোটা ধান আবাদ করেছি। আমি নিজে চাষাবাদ করায় প্রতি কাঠায় প্রায় ২৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কাঠায় ধান পেয়েছি পাঁচ মণ করে। প্রতি মণ বিক্রি করেছি ১০৫০ টাকা দরে। 

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, কৃষিবিভাগের  লোকজন কৃষকের পাশে থাকায় উপজেলায় আমনের লক্ষমাত্রা অতিক্রম হবে। এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামেও কৃষক খুশি। পাশাপাশ খড় বিক্রি করেও তাদের আয় হয়েছে। এজন্য আগামী বোরো  মৌসুমেও কৃষক বেশি জমিতে ধান আবাদ করবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর