দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কারীকুলাম প্রশ্নবিদ্ধ

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 12:32:24

দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কারীকুলাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর)বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জমির সবোচ্চ ব্যবহার করে আমরা খাদ্য উৎপাদন করি। অন্য সম্পদ আমাদের নাই। এখনো অনেক খাদ্য বিদেশ থেকে আনি। সবকিছু অনেক চ্যালেঞ্জ। সত্যিকার অর্থে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা মাটির সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল ভূমিকা পালন করছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহার করছেন, সেটার জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্য ক্রমেই দূবল হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবেনা। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সবকিছুর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সে দিক থেকে আমাদের বিজ্ঞানীরা খুব দুর্বল।

তিনি বলেন, আপনাদের ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন। নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্য মাটির কি ধরনের ক্ষতি হচ্ছে সে ধারণা নিন। কয়েক বছর আগে নতুন প্রযুক্তি ভার্মিকম্পোস্ট এসেছে। আমি অনেক বিজ্ঞানী কে জিজ্ঞেস করেছি এতে নাইট্রোজেনের মাত্রা কত? জানেন না। সেটা খুব দুঃখজনক। আপনাদের উঁচু মানের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যারা কৃষিবিদ হয়ে উঠছেন তাদের জন্য দুর্বলতা রয়েছে। মাঠের সাথে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাতে কলমে শিক্ষা নিতে হবে। তারা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে বিসিএস পরীক্ষার জন্য সাধারণ জ্ঞান পরে। তারা কয়েকটি নোট পড়ে কোনভাবে ডিগ্রি নিয়ে আসছে। আমি বলছিনা সবাই সেটা করছে। তবে অধিকাংশরা সেটা করছে।

মন্ত্রী বলেন, এত বড় বড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটিও পোল্ট্রি খামার নেই। ডেইরি ফার্ম নেই। তারা শিখবে কিভাবে। কিন্তু বেসরকারি খাত কতো বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা কিভাবে সহায়তা দেবে।

মন্ত্রি কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। তাদের কারিকূলাম দিন। কিভাবে পড়ানো করানো উচিত।

তিনি বলেন, সবাই সরকারী চাকরি নিতে ব্যস্ত।  মানেই মাস গেলে বেতন। কোন দায়িত্ব নেই। কোন কাজ নেই। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

খামারবাড়ি কেআইবি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে বিষয় অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্মারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর