প্রশ্নপত্র সমাধানে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকায় চুক্তি হতো

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ | 2023-08-11 04:58:13

মন্ত্রণালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীকে উত্তর জানিয়ে দিত চক্রটি। প্রার্থী প্রতি ৫-১০ লাখ টাকা চুক্তি করতো এই চক্রটি।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা চক্রের ৭ সদস্য সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য দেন মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান।

মাসুদুর রহমান বলেন, এই চক্রের অন্যতম হোতা সোহেল রানা এর আগেও আমাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। তার ওপর আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ছিল।

গতকাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় এই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তরপত্র সরবরাহ করার চেষ্টা করে। তখন আমরা তাদের গ্রেফতার করি।

মাসুদুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারি। তারা দুটি ডিভাইস ব্যবহার করতো। একটি ছোট ডিভাইস কানের ভিতরে থাকতো, আর একটি সিম আকারের ডিভাইস শরীরের যে কোন অঙ্গে বসিয়ে রাখত।

অন্যদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন বের করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের দিয়ে দ্রুত প্রশ্নের সমাধান করে তাদের কাছে পৌঁছে দিত।

তিনি বলেন, তাদের ব্যবহৃত ডিভাইস গুলো এতই সূক্ষ্ম যে কারো প্রতি সন্দেহ না হওয়া পর্যন্ত বোঝার ক্ষমতা নেই যে তিনি ডিভাইসটি ব্যবহার করছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের মাঝে ৩ জন পরীক্ষার্থী আর অন্য ৪ জন চক্রটি পরিচালনাকারী।

নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী পাস করলে, তাদের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী ৫-১০ লাখ টাকা করে নেয়া হতো।

গ্রেপ্তারকৃত এই চক্রের পরীক্ষার্থীরা হলেন, রবিউল আউয়াল, রাজিউর রহমান ও রেজাউল করিম। আর প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, সোহেল রানা, মাহমুদুল, আনসারুল ইসলাম এবং শ্রী দেবাশীষ।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮ টি প্রশ্নপত্র প্রেরণের ডিভাইস, ২৯টি ব্যাটারি, ৩টি পেনড্রাইভ, ৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ৯টি বিভিন্ন অপারেটর সিম কার্ড ও ৮ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর