দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) আসন থেকে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব এবং প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মোমিনুল আমিন।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন মোমিনুল আমিন।
তিনি জানান, শনিবার (১৪ই জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগাম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এই মনোনয়ন প্রকাশ করেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য ১৫১ আসন। সংবাদ সম্মেলন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে এনডিএম’র ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে এনডিএম যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে এক কঠিন যুদ্ধে নেমেছি আমরা। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট কারচুপির অবাধ সুযোগকে রুঁখে দিব ইনশাআল্লাহ্। আমার নির্বাচনী এলাকায় এখনো উন্নয়নের সুবাতাস পৌঁছে নাই। আমি অধিকারবঞ্চিত মানুষের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকব। নির্বাচিত হলে সংসদে অবহেলিত বালিয়াকান্দি, পাংশা, কালুখালী এলাকার মানুষের জন্য লড়ে যাব। সংসদে যেয়ে কথা বলব ইসলামের পক্ষে, কথা বলব লুটেরা গোষ্ঠী এবং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে এবং কথা বলব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে।
উল্লেখ্য, মোমিনুল আমিনের নানা বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার পাইককান্দি গ্রামে। তার নানা সাবেক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মরহুম আখতারুল ইসলাম '৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে এখান থেকে সংসদ সদস্য (জাতীয় পরিষদ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পেশাগত জীবনে মোমিনুল আমিন একজন খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এনজিও পপুলেশন মিডিয়া সেন্টারের পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন। ছাত্র জীবনে মেধা এবং সৃজনশীলতার সাক্ষর রাখা মোমিনুল ২০০২ সালে সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে "বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার" প্রকল্পের জন্য লাভ করেছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তি মেলার প্রথম পুরষ্কার। ২০১২ সালে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করা মোমিনুল আমিন শুরুতে ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক কৌশল বিশ্লেষক।
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সাথে জাতীয় পার্টি ত্যাগ করে তাঁর সহযোগী হিসাবে নতুন এই দলটির প্রতিষ্ঠায় রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। দীর্ঘ সফল পেশাগত জীবনে দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা মোমিনুল আমিন একজন উচ্চশিক্ষিত, মেধাবী এবং পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক কর্মী৷ বর্তমান সরকার বিরোধী রাজপথের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের লড়াকু সৈনিক হিসাবে তিনি দৃষ্টি কেড়েছেন রাজনৈতিক মহলে৷