বৃহস্পতিবার পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 23:51:19

দেশের প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পাতাল মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন ১-এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, সরকার প্রথমবারের মতো বিমানবন্দর-কমলাপুর এবং পূর্বাচল-নতুন বাজার-রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ রুটের মধ্যে ৩১ হাজার ২৪১ কিলোমিটার বিশিষ্ট পাতাল ও উড়াল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ডিএমটিসিএল এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে জানান তিনি।

প্রকল্পের বিবরণে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় প্রথম রেল ডিপো নির্মাণ করা হবে এবং নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এমআরটি লাইন ১-এর প্রথম অংশ হলো- বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর-কমলাপুর), যাতে ১২টি স্টেশনসহ ১৯ হাজার ৮৭২ কিলোমিটার বিশিষ্ট পাতাল রেল হবে। আর দ্বিতীয় অংশ হলো- পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো), যাতে ৯টি স্টেশনসহ ১১ হাজার ৩৬৯ কিলোমিটার বিশিষ্ট উড়াল হবে। এই স্টেশনগুলোর মধ্যে সাতটি স্টেশন উড়ালে হবে এবং বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসাবে নতুন বাজার ও নর্দ্দা স্টেশন পাতাল অংশে থাকবে।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ (নর্দান রুট) সহ আন্তঃপরিবর্তন করার সুবিধা থাকবে। যেখান থেকে যাত্রীরা নেমে পূর্বাচল বা পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়েছে, এমআরটি লাইন-১ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে ২৪ মিনিট সময় নেবে। ১২টি পাতাল স্টেশনে বিরতি ও সাতটি উড়াল স্টেশনে বিরতিসহ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে।

এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ চালু হওয়ার পর এই রুটে ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১ পাতাল স্টেশন চার তলা বিশিষ্ট হবে। টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রথম বেসমেন্ট লেভেলে থাকবে।

প্ল্যাটফর্মটি হবে দ্বিতীয় তালায়। উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম হবে চতুর্থ তলায়। উড়াল ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি এবং এস্কেলেটর থাকবে।

প্রকল্পটির জন্য ডিএমটিসিএল জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রকল্পটি ১২টি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়িত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর