ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করে ইভিএম মেশিনসহ সকল নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো শুরু করে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তারা। জেলার আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলা পরিষদ থেকে এই মালামাল বিতরণ করা হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করে ইভিএম মেশিনসহ সকল নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা এই মালামাল গ্রহণ করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন গঠিত। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ৯ ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮ ইউনিয়ন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার। উপ নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
এদিকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উপনির্বাচন করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে সংসদীয় আসনে অফিসারসহ ১ হাজার ১শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকবে দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২ জন আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার ও ২ জন গ্রাম পুলিশ। উপনির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে অফিসারসহ ১ হাজার ১শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকবে বিজিবি, র্যাব, পুলিশের একাধিক মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। উপনির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।