চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় টয়লেটের ট্যাংক থেকে নিখোঁজ হওয়া স্কুল ছাত্র মহিবের (৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটায় নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের হাজী তাজুল ইসলামের টয়লেটের ট্যাংক থেকে শিশু মাহিবের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্কুল ছাত্র মাহিব (৭) উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের গুগন প্রধানীয়া বাড়ির ওয়াসিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তারের ছেলে। তার বাবা মাসুদ রানা প্রবাসী।
মাহিব একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ৩ ডিসেম্বর মাহিব নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরের দিন ৪ ডিসেম্বর মাহিবের জেঠা জামাল মতলব দক্ষিণ থানায় জিডি করে। যার জিডি নং ১২৯। পরবর্তীতে তাকে রোববার রাতে টয়লেটের ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মাহিবের বাবা প্রবাসী মাসুদ রানা বাদী হয়ে ৯ ডিসেম্বর রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মাহিবের জেঠা জামাল ও সজিবকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
মতলব দক্ষিণ থানার এসআই জহির জানান, স্কুল ছাত্র মাহিব নিখোঁজের হওয়ার পর পুলিশ কয়েকজনকে সন্দেহ করে এবং তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাহিবের জেঠাকে আটক করা হয়। আটকের পর মাহিবের জেঠা জামালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের পাশের বাড়ি হাজী তাজুল ইসলামের টয়লেটের ট্যাংক থেকে শিশু মাহিবের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, মাহিবের জেঠার উদ্দেশ্য ছিল মাহিবকে আটক করে মুক্তিপণ আদায় করা। বিষয়টি যখন এলোমেলো হয়ে যায়, তখনই সে ৩ ডিসেম্বর রাতে মাহিবকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ তার দোকানেই ছিল। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির হাজী তাজুল ইসলামের টয়লেটের ট্যাংকে লাশ ফেলে দেয়।
স্কুলের শিশু শিক্ষার্থী মাহিবের লাশ উদ্ধারের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জামালের দোকানে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় পুলিশ জামালের ঘরে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম এস ইকবাল হোসেন বলেন, 'আটককৃতদের সাথে নিয়ে তাদের দেখানো স্থান থেকে শিশু মাহিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। মাহিবের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।'