দুই বছর ধরে প্রেমিকের টাকা-পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে প্রেমিক হাসিবুল। কক্সবাজারে একই কক্ষে থেকে গড়েছেন শারীরিক সম্পর্ক। সেই প্রেমিকাকে বিয়েতে অনিহা প্রকাশ করায় বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ২৫ বছর বয়সী প্রেমিকা।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা এলাকায় শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এমন খবরে প্রেমিকের বাড়িতে জড়ো হয় এলাকার হাজারো বাসিন্দা। খবর পেয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন এএসআই আমজাদ হোসেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেমিকা বলেন, পাশের গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে গণবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হাসিবের সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমে গড়ায় এই সম্পর্ক। গেলো দুই বছরে পড়াশোনা বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয় হাসিব।
পড়াশোনা শেষ করেই তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যান কক্সবাজারে। সেখানে একটি অভিজাত হোটেলে উঠেন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে। তিন দিন সেখানে থাকার পর চলে আসেন নিজ এলাকায়। প্রায় ২০ দিন আগে মেয়ের বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে গেলে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের লোকজনের।
খুব শিগগিরই মেয়েকে বিয়ে করে বাড়ি তুলবে বলে জানালে ছাড়া পায় হাসিব। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা বনে যায় হাসিব। কোন উপায় না পেয়ে আজ প্রেমিকের বাড়িতে উঠে পড়েন বলে জানান অনশনরত যুবতী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিবের মা বলেন, হাসিব মেয়েকে নিয়ে একটু ঘোরাফেরা করেছে। তাই বলে ওই মেয়েকে বউ করে ঘরে তুলবো, প্রশ্নই আসে না।
হাসিবের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধল্লা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আমজাদ হোসেন বলেন, ওই যুবতী ছেলের বাড়ি উঠার পর ৯৯৯- কল করে হাসিবের মামা। পরে সেখান থেকে মীমাংসার জন্য মেয়েকে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। উভয় পরিবারের মুরুব্বিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।