কুষ্টিয়ায় 'জাগ্রত সাহিত্য ও গুণীজন সম্মাননা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 10:11:50

কুষ্টিয়ায় জাগ্রত সাহিত্য ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।

এসময় তিনি বলেন, সাহিত্য হচ্ছে একটি দেশের দর্পনস্বরুপ। সাহিত্য যারা চর্চা করে তারা দেশের জন্য কাজ করে। সাহিত্যকর্ম ব্যক্তিকে মার্জিত করে তোলে। সৃজনশীল সাহিত্য মননশীল মানুষ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার হাতিয়ার। তাই সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সৃষ্টিশীল মানুষকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।

বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. আমানুর রহমানের সভাপতিত্ব এবং সাংবাদিক এসএম জামালের সার্বিক তত্বাবধায়নে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ডা: এএফএম আমিনুল হক রতন, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম, পুনাক সভানেত্রী ও পুলিশ সুপারের সহধর্মীনি দিলরুবা আলম, বিশিষ্ট নাট্যকর মাসুম রেজা, কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)'র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাগ্রত মহানায়ক শিহাব রিফাত আলম বলেন, সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে কাজ করছে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ একটি সৃজনশীল পরিবার। আর এই পরিবারের সকল সদস্য আমাদের সম্পদ। আমরা আমাদের সীমিত সার্মথ্য দিয়ে তাদের সৃষ্টিকর্ম জাতির সামনে তুলে ধরতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আলোকিত দেশ গড়তে সবসময় আমরা আপসহীন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাহিত্য সত্য, সুন্দর, আনন্দময় অনুভূতিতে পাঠক হৃদয়কে জাগিয়ে তোলে। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহিত্যপাঠ হতে পারে একটি কৌশল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গুণীজন এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য সম্মান করতে না পারলে সমাজে গুণী ব্যক্তির সৃষ্টি হয় না। আমরা যদি গুণীজনদের খুঁজে বের করি, তাদের সম্মান দেখাই, তাহলে জাতিকেই সম্মান দেখানো হয় এবং তা জাতিকে সমৃদ্ধ করে। গুণীজনরা তাদের কাজের স্বীকৃতি পেলে ভালো থেকে আরও ভালো করেন, অন্যদেরও উৎসাহ বাড়ে।’

পরে গুনীজন, রত্মগর্ভা মা, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আদর্শ দম্পতিসহ সমাজসেবায় অবদান রাখায় সম্মাননা জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখায় ভারতবর্ষের দশম স্থান এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্থান অধিকার করায় পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মনজিত রায়কে স্বর্ণপদকে (গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড) ভুষিত করা হয়।

অনুষ্ঠানের ব্যালেন্স পয়েন্ট দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেয় কোলকাতার প্রিয়দর্শীনি মজমুদার ও আবৃত্তি করেন কোলকাতার জনপ্রিয় বাচিক শিল্পী তাপসী সিংহ।

এরআগে প্রথম অধিবেশনে দুই বাংলার শিক্ষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মনজিত রায়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কোলকাতার বরেণ্য কবি কবি বরুন চক্রবর্তী।

কবি ও সাহিত্যিক আবদুর রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি: ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম তামিজি, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডেন্ট আশরাফ চৌধুরী, জাগ্রত সেবা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রেসিডেন্ট নাজনীন সুলতানা লুনা, ইফফাত রুপা জামান, জাগ্রত সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসান টুটুল, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডা: ইফতেখার মাহমুদ, লেখক ও কলামিস্ট অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো: শহীদুল্লাহ, জাগ্রত সাংস্কৃতিক জোট সেক্রেটারি জেনারেল লুৎফুর রহমান রিপন, বিদ্রোহী দি নজরুল কালচারাল সেন্টারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও রাস্ট্রচিন্তক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু, এটিএম নিউজ টেলিভিশনের চেয়ারম্যান লায়ন আলহাজ্ব আমিরুল গণি খোকন, কোলকাতার লেখক ও গীতিকার, কবি অগ্নি শিখা, জাগ্রত উপদেষ্টা মোহতাসিম বিল্লা বাবুল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর