আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-08-31 23:14:06

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। এর আগে সার্ভারে ত্রুটির কারণে সকাল থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর তিনটার দিকে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে হাতে লিখে (ম্যানুয়ালি) দুই দেশের যাত্রীদের আসা-যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে যাত্রীদের স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার শুরু হয়। বর্তমানে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম চলছে। সার্ভার ত্রুটির কারণে ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন অন্তত ৪০০-৫০০ যাত্রী।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে গড়ে এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ৪-৫ জন যাত্রী ভারতে যান। এর পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়। সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর সকাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভারতে যেতে ইচ্ছুক দুই দেশের যাত্রীদের কেউই ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারেননি। এদিকে সকাল থেকে ভারতের আগরতলাসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রীরা আগরতলা ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েন। ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় কোনো যাত্রীই অতিক্রম করতে পারেননি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের জটলাও বাড়তে থাকে। দুপুরে বিদেশের যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পুলিশের বিশেষ শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পুলিশের বিশেষ শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আখাউড়া ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম ম্যানুয়ালি (হাতে লিখে) শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুপুরে হাতে লিখে আখাউড়া ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোর্শেদ আলম বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫-৬ জন যাত্রীর কাজ করতে পেরেছে। বর্তমানে হাতে লিখে যাত্রীদের পার করা হচ্ছে।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ পরিদর্শক হাসান আহমেদ ভূইয়া বলেন, সকাল থেকে সার্ভারে ত্রুটির কারণে আগরতলা থেকে বাংলাদেশে আসা এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে ইচ্ছুক আসা যাত্রীদের পারাপার বন্ধ থাকে। বেলা দুইটা পর্যন্ত ইমিগ্রেশন এলাকায় ৪০০-৫০০ যাত্রী আটকা পড়েন। পরে তিনটার দিকে হাতে লিখে ইমিগ্রেসনের কাজ শেষ করে দুই দেশের যাত্রীদের পারাপার শুরু হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর