চারদিকে নির্বাচনী ডামাডোল। নৌকা, ধানের শীষের সাথে আছে আরো নানান প্রতীক। প্রার্থীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এবার বিজয়ের মাসে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় জাতীয় পতাকা বিক্রি বাড়েনি। বরং কমেছে বলে দাবি মৌসুমী পতাকা বিক্রেতাদের।
প্রতি বছর বিজয় দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন মাপের পতাকা হাতে নেমে পড়েন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তেমনি একজন মো. রুবেল হোসেন, ২০০২ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পতাকা বিক্রি করে আসছেন। মূলত তিনি রাজমিস্ত্রি। দিবস আসলেই নেমে পড়েন এই ব্যবসায়। শতকরা ৫০ টাকা লাভ হয় বলে জানান রুবেল।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের বড় মসজিদের পাশে কথা হয় রুবেল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, চাঁদপুর জেলায় প্রায় ১৮ থেকে ২০ জনের মতো মৌসুমী পতাকা ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাজীগঞ্জ বাজারে প্রায় ১০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার দৈনিক বিক্রির হার কমেছে। এখন হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হয়। গত বছরের এমন দিনে তিন থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি হতো।
আরেক পতাকা বিক্রেতা আবদুস সোবহান। তিনি জানান, তাদের কাছে তিন ধরনের পতাকা আছে। ৪০ টাকা, ৬০ টাকা ও ১০০ টাকা মূল্যের পতাকা রয়েছে। এছাড়া মাথার ব্যাজ প্রতিটি ১০ টাকা, স্টিকারের পাতা ১০ টাকা হারে বিক্রি করেন।
এছাড়াও তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা চলাকালে চট্টগ্রাম, মিরপুর ও সিলেট স্টেডিয়ামে পতাকা বিক্রির জন্য হাজির হন বলে জানান।