চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামবাসীর ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব:) শামসুল হকের ছেলে আনিসুল হক।
গুলিতে সুগন্ধি গ্রামের নিক্সন (২৮) ও মাজহারুল (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় আনিসুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখেন গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অতিরিক্ত দায়িত্বরত নির্বাচন অফিসার শুভাশিষ ঘোষ মতলব উত্তর থানা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আনিসুল হককে উদ্ধার করেন।
পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে এনে আনিসুল হকের নিরাপত্তার জন্য এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে আনিসুল হক সস্ত্রীক বাড়ি ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান। আনিস গ্রাম ছাড়ার পর আনন্দ মিছিল বের করেন সুগন্ধি গ্রামের বাসিন্দারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে সুগন্ধি গ্রামের লোকজন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় আনিসুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন বখাটে গ্রামবাসীকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
এতে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ঘটনার একপর্যায়ে আনিসুল হক পিস্তল ও শর্টগান দিয়ে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি ছুড়েন। এতে দুই জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলির বিকট শব্দে আশেপাশের গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এলাকাবাসী জানান, আনিসুল হক ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জজের সহায়তায় সুগন্ধি ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের উপর জুলুম নির্যাতন, মামলা, হামলা, নারী সংঘঠিত বিভিন্ন ঘটনা ঘটানোসহ নানা অপকর্ম করে আসছিলেন।
অভিযোগ আছে, আনিসের দলে কাজ না করলে মাদক দিয়ে পুলিশে হয়রানি’সহ তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করার। সুগন্ধি গ্রামে জলাধার, পুকুর দখল ও বাহাদুরপুর চরে জমি দখল করে গরুর খামার করেছেন আনিস। প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকিসহ মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে দেন তিনি।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন।