প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে যখন সরকারের পদক্ষেপগুই কাজে আসছে তখন এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন) বাদ দেওয়ার পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এমসিকিউ তুলে দেওয়া হবে।’
তবে একবারে নয়, পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তার যুক্তি এমসিকিউ তুলে দেওয়া হলে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ থাকবে না।
মন্ত্রীর অভিযোগ, একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে পদক্ষেপ হিসেবে সর্বশেষ পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ওই এলাকার মধ্যে কারও হাতে মোবাইল পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। মন্ত্রণলায়ের এ সিদ্ধান্ত প্রয়োগের আগেই প্রতিমন্ত্রী নতুন এই সিদ্ধান্ত কথা জানালেন।
এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়াসহ আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়নি। বরং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষার সাতটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার পরীক্ষার দিন আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশ্য আজ সকালে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।