‘এমনভাবে সম্মানিত করায় খুশিতে কান্না চলে এসেছে’

রাজশাহী, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 16:25:39

মহানগরীর ছয় শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরভবন চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট, প্রাইজবন্ড ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সম্মান জানানোর সুযোগ দিয়েছেন, এ জন্য আমরা ধন্য হয়েছি। অনুষ্ঠানে আসার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। দোয়া করি এ সময় যেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে এবং আমরা ভালোভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করতে পারি। কারণ আওয়ামী লীগ না থাকলে দিবসটি কেউ উদযাপন করবে না।’

সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আর যাতে কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার অপচেষ্টা করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাহস থেকে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি, আর যেটুকু বাকি আছে আগামীতে সেটিও করতে পারব বলে আশা করছি।’

অনুষ্ঠানে যুদ্ধকালীন চিফ মেডিকেল অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইমদাদুল হক বলেন, ‘মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আমাদের এমনভাবে সম্মানিত করেছেন, মনে রেখেছেন, এতে আনন্দে খুশিতে আমার কান্না চলে এসেছে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলে শেষ করা যাবে না।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা দুরুল হুদা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিতে হবে। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্যে সবার উচিত মাঠে নামা।’

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তার বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু। অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদী।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক (বীর বিক্রম), সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা, সাবেক মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, যুদ্ধকালীন বিএলএফ কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকদৌল্লা খাঁন, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১, ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন শেখ মো. মামুন ডলার প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর