শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ড. কামাল হোসেনকে প্রশ্ন করে ‘ধমক’ পাওয়া সিনিয়র সাংবাদিক ভাস্কর ভাদুরীকে সাহস দিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা শেষে বের হয়ে যাওয়া পথে ডেকে নিয়ে এই সাংবাদিককে তার স্বাভাবিক কাজ নির্ভয়ে চালিয়ে যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানতে চাইলে ভাস্কর ভাদুরী বলেন, ‘প্রথমে আপা (প্রধানমন্ত্রী) আমার কাছে জানতে চাইলেন- সেদিন কী হয়েছিল। আমি বিস্তারিত বললাম। তখন আপা বললেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তুমি তোমার কাজ নির্ভয়ে চালিয়ে যাও।’
‘উনারা যদি এভাবে সাংবাদিকদের ‘খামোশ’ বলে থামিয়ে দিতে চান তাহলে তারা ক্ষমতায় এসে কী বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে তা মানুষের জানা হয়ে গেছে।’ শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের বিষয়টিও জানান ভাস্কর।
সেখানে উপস্থিত কয়েকজন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভাস্করকে বলেন, এটাই হচ্ছে তাদের আসল চরিত্র। যেটা এখন বের হয়ে আসছে। সাংবাদিকদের সামান্য প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে হুমকি-ধামকি দেয় তারা কি বাক স্বাধীনতা দেবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাদের এমন আচরণ এতদিন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জানা ছিল। এখন সারাদেশের মানুষ জানল।’
ভাস্কর জানান, তার সঙ্গে ৫-৭ মিনিট কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন স্নেহশীল আচরণে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ভাস্কর।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে ড. কামালকে তার অবস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের ওপর চটে যান।
সাংবাদিকদের কথার জবাব না দিয়ে বরং পাল্টা প্রশ্ন করেন ড. কামাল। বলেন, ‘কত পয়সা পেয়েছো এসব প্রশ্নগুলো করতে?’ তিনি আরও বলেন, ‘চুপ করো। চুপ করো, খামোশ’।
শুধু তাই নয়, ওই সাংবাদিকের নাম জানতে চেয়ে ড. কামাল আরও বলেন, ‘তোমার নাম কী? কোন পত্রিকা। জবাবে ওই সাংবাদিক ‘যমুনা’ বললে তিনি জবাব দেন, ‘যমুনা টেলিভিশন চিনে রাখলাম।’ এ ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ১৫ ডিসেম্বর এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ড. কামাল হোসেন।
ৎ