ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবনির্মিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে আজ মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি সর্ম্পক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা হবে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। পুরো রেলপথ সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়ায় গঙ্গাসাগর ইয়ার্ডেই চালানো হয়।
১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে বলেও জানান প্রকৌশলী রিপন শেখ।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগাযোগের জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। রেলপথটি চালু হলে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় যাত্রাপথে অন্তত ৯৫০ কিলোমিটার কমবে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা অনেকটাই লাভবান হবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ।
প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।