রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশ ঘিরে শাহবাগ ও রমনা এলাকাসহ উদ্যানের আশপাশে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। থানা পুলিশ, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন। এ জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। দুপুর তিনটায় মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রসমাবেশ যোগ দিতে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গণজমায়েত শুরু হয়েছে। সকালে রাজধানীর কয়েকটি সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকটি সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ডাইভারশন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই সমাবেশে পাঁচ লক্ষাধিক ছাত্রের সমাগম ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগের এই ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজ উচ্চারণ করবে, ‘ওয়ানস অ্যাগেইন শেখ হাসিনা’।
পুলিশ বলছে, সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকা ছাড়াও পুরো রাজধানীতে আজ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রসমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
ডিএমপি জানায়, কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং বন্ধ বা ডাইভারশন করা হবে। নগরবাসীকে এসব এলাকা বা রাস্তা পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
ডিএমপি আরও জানায়, সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের গাড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল মাঠ (ভিআইপি); মলচত্বর; পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে; ফুলার রোড রাস্তার দুই পাশে; দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে; নবাব আব্দুল গণি রোড রাস্তার দুই পাশে এবং দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশে রাখতে বলা হয়েছে।