চাঁদপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ

চট্টগ্রাম, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪ | 2023-09-01 10:46:50

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের তাণ্ডব ক্রমেই বাড়ছে বলে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুড়ী গ্রামে প্রার্থীর নিজ বাগান বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ৭ দিনে পুলিশ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা হতে ৭৮ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এছাড়া নামধারী ৪’শসহ অজ্ঞাত ১ হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছে।  গ্রেফতারের ভয়ে বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে পুলিশের তাণ্ডব ততই বেড়ে চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে এই আসন থেকে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচনে এমপি হয়েছেন মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম’।

বিগত দশ বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের ২ হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩২ টি মামলা দায়ের করেছে। তিনি সন্ত্রাস প্রশাসনিক তাণ্ডবের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচিত হতে চান। যা হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিবাসী মেনে নিবে না।’

ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেন, ‘হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিবাসীর প্রতিটি ঘরে এখন কান্নার রোল। ধানের শীষের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম সহিংসতার পথ বেঁছে নিয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ রাতের বেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ যুক্ত হয়ে নেতাকর্মী ও পরিবারের লোকজনকে গালাগাল করে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

মমিনুল হক বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখিত বিষয়ে বক্তব্য রাখি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রচারণার ক্ষেত্রে সমঅধিকারের বিষয়ে আমাকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন হয়নি।

তিনি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের হানার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘গত ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজারে গণসংযোগস্থল থেকে ১৯জন নেতাকর্মীকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাতে ১৭ জন নেতাকর্মীকে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পূর্বের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। যার মধ্যে একজন ভাতাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী রয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, সুহিলপুর ও ছয়ছিলা গ্রামে এসআই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ তার গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজারে গণসংযোগে আসা নেতাকর্মীদের উপরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ২০জন নেতাকর্মী গুরুত্বর জখমপ্রাপ্ত হন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হোসেন মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, এম এ রহিম পাটওয়ারী, আবু সুফিয়ান রানা ও এম এ নাফের শাহ্ প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর